এবার জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি সহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল রবিবার থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনার খালিশপুরে ট্যাংকলরী ভবনে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠন এ ঘোষণা দেয়।
এদিকে সংগঠনগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি। তাদের দাবিগুলো হলো, জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা।
সভায় মালিক সমিতির নেতারা জানান, জ্বালানী তেল বিক্রির উপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সময় পার হয়ে যাওয়ায় আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে।
এদিকে, এই দাবিতে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের একাংশ। এরআগে, গত ২৯ আগস্ট সচিবালয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে দাবি নিয়ে এক বৈঠকে বসে পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা। আলোচনার পর তাদের সব দাবি এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিপণন বিভাগের পরিচালক অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়নে বিপিসি কাজ করছে। কিন্তু এরপরেও কোনো একটি অংশের ধর্মঘট ডাকা দু:খজনক।’ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের একাংশের নেতা সাজ্জাদুল করীম বলেন, ‘পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট থাকবে না তবে ট্যাংকলরির ধর্মঘট চলবে। অর্থাৎ ডিপো থেকে পাম্প মালিকরা কোনো তেল নিতে যাবে না।’
এ অবস্থা চললে দুই একদিনের মধ্যে এমনিতেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানির সংকট দেখা দেবে বলে বিপিসি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন।